জলবায়ুর প্রতিকূলতা মোকাবেলায় যুবকদের সম্পৃক্ততা চান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ‘যুব ২০৩০: তরুণদের জন্য এবং তরুণদের সঙ্গে কাজ করছে’ শিরোনামে একটি গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
জাতিসংঘ মহাসচিবের যুব বিষয়ক বিশেষ দূত জয়ত্মা উইক্রামানায়েকের সঞ্চালনায় এ সভায় জাহিদ হাসান বলেন, “জলবায়ু সৃষ্ট ঝুঁকি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়ানো এবং অভিযোজনের সক্ষমতা বাড়াতে আমরা যুবদের শক্তি, অভিযোজন ক্ষমতা, প্রবল আবেগ ও মানসিক বল অত্যাবশ্যক নিয়ামক হিসেবে ব্যবহার করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছি- যাতে তারাই হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূলতা মোকাবেলায় নেতৃত্বদানকারী শক্তি।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন এর লক্ষ্য অর্জনে যুব ক্ষমতায়নে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। আশা করছি, পরবর্তী কয়েক দশকে আমরা জনসংখ্যার লাভ ঘরে তুলতে পারবো। কেননা আমাদের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ হচ্ছে যুব-সম্প্রদায়। আর যুব সম্প্রদায়ই হচ্ছে আমাদের দেশে সব অর্জনে সম্মুখ শক্তি যারা এসডিজির বিভিন্ন অভিষ্ট বিশেষ করে অভিষ্ট-১৩ ক্লাইমেট অ্যাকশন বাস্তবায়নে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত।”
দুর্যোগ প্রশমনে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুবকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ১৫৫ মিলিয়ন মোবাইল ব্যবহারকারী এখন স্মার্টফোন ও সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করছে। অধিকন্তু, যুবভিত্তিক ক্লাব, সংঘ ও সংস্থা যেমন ‘ওয়ার্কস ফর গ্রিন বাংলাদেশ’ ও ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’সহ অনেক প্রতিষ্ঠান জলবায়ু বিষয়ে সরেজমিনে কাজ করছে। তারা গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস, সবুজ প্রযুক্তি ও সৌর শক্তির ব্যবহারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে র্যালি, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনের আয়োজন করছে।”
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ হাসান রাসেল জাতিসংঘের চলতি ‘২০১৯ ইকোসক ইয়ুথ ফোরাম’ এ বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।